বর্তমানে ফেইসবুক,হোয়াটসঅ্যাপ,ইন্সটাগ্রাম এর সাথে সমানতালে পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টিকটক অ্যাপটি। বেইজিং-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘বাইটড্যান্স’ ২০১৭ সালে অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ ‘মিউজিক্যালি’ ১ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়। তারা সেই অ্যাপের নাম দেয় ‘টিকটক’। ডাউনলোডের দিক দিয়ে এই অ্যাপটি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এবং ইউটিউবকে পেছনে ফেলে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা বিস্ময়কর বলে জানাচ্ছে প্রযুক্তি বিশ্ব। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস সংস্করণে রয়েছে অ্যাপটির।
এই অ্যাপটির বিনোদনের মাধ্যম একটু ভিন্ন। বিভিন্ন রকম মিউজিক অথবা গানের সাথে ঠোট মিলিয়ে ভিডিও বানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন মজাদার ভিডিও বানানো যায়। এই অ্যাপটি বাংলাদেশ সহ ভারতে বহুলাংশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ইতোমধ্যে। কিন্তু বর্তমানে এই অ্যাপটি অপসংস্কৃতি, যৌনতা এবং লালসার দিকে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার জন্য তামিলনাড়ু সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। মন্ত্রী মনিথানেয়া থানামুন আনসারী, তিনি মনে করেন, তরুণ প্রজন্মকে এই অ্যাপটি সাংস্কৃতিক পতনের পথে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি যৌনতার সুস্পষ্ট সামগ্রীগুলোর অযাচিত ছড়িয়ে পড়াটাকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করেন। সম্প্রতি চেন্নাই পুলিশ কয়েকদিন আগে, চোরা ভিডিও পাচারকারীকে আটক করেছে।
যারা টিকটক থেকে নারীদের ভিডিও দেখিয়ে অন্য সংস্থা থেকে মোটা টাকা আয় করতো। গত সপ্তাহে, বিখ্যাত তামিল ফিল্ম কমেডিয়ান ভাদিভেলুর মতামত নিয়ে তামিল লেকচারারকে চিত্তাকর্ষক করে এমন একটি ভিডিও আপলোড করার জন্য ভারতের সালেমে সরকারি আর্টস কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে স্থগিত করা হয়েছিল।
আনসারি “দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস”সংবাদপত্রকে বলেন, “সৌদি আরব বা চীনে দেখুন, তাদের সকলের এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলি সীমাবদ্ধ করার ব্যবস্থা রয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “বেশিরভাগ টিকটক ভিডিওগুলি কেবল নৃত্য এবং গান ছাড়া আর কিছুই নয়। যদি সরকার এটি নিষিদ্ধ না করে তবে আমি আরও ভালো ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করব যাতে এই অ্যাপটি বন্ধ করানো যায়।”
বাংলাদেশেও বন্ধ হওয়ার আশংকা-
এদিকে টিকটক বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “শুধু টিকটক নয় দেশীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি রয়েছে এমন সব ধরনের সাইট আমরা বন্ধ করে দিতে চাই”
তিনি আরো বলেন, “আমি ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে চাই। আমার দেশ ইউরোপ না আমেরিকা না আমার দেশে বাংলাদেশ। তাই এ দেশের মানুষ, সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি সঙ্গে যায় না এমন কোনো কিছুকেই আমি রাখতে চাই না”।
এসব সাইট বন্ধ করলে আবারো খোলা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “খোলা হলে বন্ধ করে দেব। যতবার খোলা হবে ততবার বন্ধ করে দেব। মানুষের জীবন ও মান ও দেশের জন্য ক্ষতিকর এসব সাইট বন্ধে কতটুকু সফল হব জানি না। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করে যাব। আমি আমার দেশ, মাটি ও মাকে বাঁচাতে চাই”।
প্রযুক্তিকে মানব সভ্যতার জন্য আশির্বাদ বলেই ধরা হয়। সেই প্রযুক্তির মাধ্যমে টিকটকসহ সকল বিনোদন মাধ্যমে মানুষের প্রকাশ হোক নিরাপদ ও সুন্দর ও শালীন। এমনটা নিশ্চিত হলেই নানা ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম অনেকটাই কমে আসবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
The post দেশে নিষিদ্ধ হতে পারে টিকটক! appeared first on ATC ToTo.
from ATC ToTo
via ifttt
No comments:
Post a Comment